একমাস রোজার পরে ঈদের মজার সব খাবার খেতে গিয়ে পেটে অসুখ বাঁধিয়ে ফেলেননি তো? পেটের সমস্যা শুধু যে এই কারণেই হতে পারে, এমন নয়। অস্বাস্থ্যকর ও বাসি খাবার খেলেও বদ হজমসহ পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমিভাব বা বমি, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং ডায়রিয়া থেকে পানিশূন্যতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। খাবারের বিষক্রিয়ার কারণে পেটে সমস্যা হলে অবহেলা করে বসে না থেকে চিকিৎসা নিন। চিকিৎসকের কাছেে যেতে না পারলে ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন পেটের সমস্যা।
খাবারের বিষক্রিয়া প্রতিকারে আপেল বেশ সহায়ক। তাছাড়া এই ফলে থাকা এক ধরনের এনজাইম ডায়রিয়া ও পেটব্যথার জন্য দায়ী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি দমিয়ে রাখতে পারে।
কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা রোগ নিরাময়ে এবং খাবারের বিষক্রিয়ার প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে কয়েকটি কলা ও আপেল চটকে খেতে পারেন অথবা ‘বানানা শেক’ খাওয়া যেতে পারে।
লেবুর টক খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে লেবুর রসের সঙ্গে এক চিমটি চিনি মিশিয়ে বা লাল চায়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
হজম সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে আদা বেশ কার্যকারী। ১ টেবিল-চামচ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে খাদ্য বিষক্রিয়া জনিত প্রদাহ ও ব্যথা কমে যায়।
জিরা পেটের প্রদাহ উপশম করাসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। ১ টেবিল-চামচ জিরাগুঁড়া স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি বা এই ধরনের খাবার জনিত সমস্যা হলে বেশি করে পানি পান করা খুব জরুরি। ডায়রিয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। এছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য ও ব্যাকটেরিয়া বের করে দেওয়াসহ তাড়াতাড়ি রোগ নিরাময়ে পানি বেশ কার্যকর। পাশাপাশি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্যও পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার অন্ত্র উপশমে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেটে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে বাধা দেয় আর সেরে উঠতে সাহায্য করে।